এশিয়ান গেমস অভিযান চরম সংকটে। আইসিসি নিতে পারে কঠোর ব্যবস্থা। ঢাকায় হরমনপ্রীতের আচরণে চরম বিপাকে ভারতীয় মহিলা দল।

(হরমনপ্রীত কৌর,মদনলাল, নিগার সুলতানা, স্মৃতি মান্ধানা,বিসিবি, বিসিসিআই, আইসিসি, Harmanpreet Kaur, Icc, Bcci, Madan lal, Nigar Sultana, Smriti Mandhana, Take strict disciplinary action against Harmanpreet Kaur, Harmanpreet likely to be banned for two matches)

ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর সম্প্রতি বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে তার আচরণের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এলবিডব্লিউ আউট হওয়ার পর, কৌর হতাশার সাথে তার ব্যাট দিয়ে তার স্টাম্প ভেঙে দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান। ম্যাচ-পরবর্তী উপস্থাপনার সময় তিনি আম্পায়ারিংকে “করুণ” বলে মন্তব্য করেছিলেন।

icc-takes-strict-disciplinary-action-against-harmanpreet-kaur-and-likely-to-be-banned-for-two-matches-in-bengali

প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মদন লাল সহ অনেকেই কৌরের আচরণে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বিসিসিআই থেকে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে কৌরের এই আচরণ ভারতীয় ক্রিকেটের মূল্যবোধকে চরম অপমানিত করেছে। বাংলাদেশের অধিনায়ক, নিগার সুলতানাকেও কৌরের আচরণের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা যায়। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন – ‘‘সমস্যাটা সম্পূর্ণ হরমনপ্রীতের। এই ক্ষেত্রে আমার কিছু করার ছিল না। খেলোয়াড় হিসাবে হরমনপ্রীতের আচরণ আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল। কেন হরমনপ্রীত ওই আচরণ করেছেন জানি না। তবে বিষয়টা আমার ভাল লাগেনি। আমার দলের সঙ্গে ঠিক ব্যবহার করা হয়নি। এটা সঠিক পরিবেশ নয়। সে জন্যই আমরা সরে এসেছি। ক্রিকেট খেলার সঙ্গে শৃঙ্খলা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা জড়িত।’’

হরমনপ্রীতকে আউট দেওয়ার সিদ্ধান্তে ভারতীয় শিবির ক্ষুব্ধ হলেও বিতর্ক খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক। নিগার বলেছেন, ‘‘হরমনপ্রীত আউট না হলে আম্পায়ারেরা নিশ্চয়ই ওকে আউট দিতেন না। এই আম্পায়ারেরা পুরুষদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন। তাঁরা যথেষ্ট দক্ষ। ক্যাচ এবং রান আউট হয়েছে ভারতের ছ’জন ব্যাটার। এই আউটগুলো নিয়ে কী বলবে ভারতীয় শিবির? আমরা আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। কারণ তাঁদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সেটা আমাদের পছন্দ হতে পারে। আবার অপছন্দও হতে পারে। সে জন্য আমরা যা হোক আচরণ করতে পারি না।’’

এই বিষয়ে ভারতীয় প্রসিদ্ধ মহিলা খেলোয়াড় স্মৃতি মান্ধানা জানিয়েছেন – “যখন আপনি ভারতীয় দলের জন্য জয়লাভ করতে চান এবং বোর্ডে ডব্লিউ(win) কথাটা দেখতে চরম আগ্রহী হন, তখন এইসব ঘটতে পারে। আমি জানি হরমন ভারতীয় দলের জয় দেখতে কতটা আগ্রহী। সম্ভবত এটা স্পিরিট অফ দ্যা গেমকে সমর্থন করেনা কিন্তু হরমনের ভারতীয় দলের প্রতি চরম ভালোবাসা থেকেই হয়ত তিনি এটা করে ফেলেছেন।

আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কিত আচরণের জন্য ভারতীয় দলের অধিনায়ককে ম্যাচ ফি-র ৭৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। সঙ্গে ৩ ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আগামী ২৪ মাস তাঁকে থাকতে হবে আইসিসির নজরদারিতে। এই সময়ের মধ্যে আর একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেই হরমনপ্রীত একটি টেস্ট ম্যাচ অথবা দু’টি সীমিত ওভারের ম্যাচে নির্বাসিত হবেন।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে হারমনপ্রীত কৌরের আচরণ এই মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। তার ক্রিয়াকলাপ একজন খেলোযাড় সূচক একদমই ছিলনা, এমনকি তার প্রতিপক্ষ এবং আম্পায়ারদের প্রতিও অসম্মানজনক ছিল। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসাবে, কৌর একটি বড় দায়িত্বের পদে অধিষ্ঠিত। তার কাজ ভারতীয় ক্রিকেটের সুনামকে কলঙ্কিত করেছে।

খেলোয়াড়দের মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে তারা তরুণদের জন্য রোল মডেল যারা তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। মাঠে এবং মাঠের বাইরে তাদের ক্রিয়াকলাপ তাদের অনুসরণকারীদের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন, খেলোয়াড়দের নিজেদেরকে এমনভাবে আচরণ করা গুরুত্বপূর্ণ যা নিজেদের এবং তাদের দলকে ইতিবাচকভাবে প্রতিফলিত করে।

উপসংহারে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন হারমানপ্রীত কৌরের আচরণ একদমই গ্রহণযোগ্য ছিলনা এবং এরফলে কৌর ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। খেলোয়াড় এবং দলের অধিনায়কদের জন্য ক্রিকেটের সম্মান এবং ন্যায্য খেলার মূল্যবোধ বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই ঘটনাটি এই মূল্যবোধের গুরুত্বের একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করবে এবং খেলোয়াড়দের নিজেদের এবং তাদের দলকে ইতিবাচকভাবে প্রতিফলিত করে এমনভাবে নিজেদের পরিচালনা করতে উৎসাহিত করবে।

হরমনপ্রীত মন্তব্যে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা কী জানিয়েছেন ?

হরমনপ্রীত আউট না হলে আম্পায়ারেরা নিশ্চয়ই ওকে আউট দিতেন না। এই আম্পায়ারেরা পুরুষদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন। তাঁরা যথেষ্ট দক্ষ। ক্যাচ এবং রান আউট হয়েছে ভারতের ছ’জন ব্যাটার। এই আউটগুলো নিয়ে কী বলবে ভারতীয় শিবির? আমরা আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। কারণ তাঁদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সেটা আমাদের পছন্দ হতে পারে। আবার অপছন্দও হতে পারে। সে জন্য আমরা যা হোক আচরণ করতে পারি না।

অধিনায়ক নিগার সুলতানা বাংলাদেশ মহিলা দল সহ কেনো মাঠ থেকে বেরিয়ে যান ?

তিনি এই বিষয়ে জানিয়েছেন – ‘সমস্যাটা সম্পূর্ণ হরমনপ্রীতের। এই ক্ষেত্রে আমার কিছু করার ছিল না। খেলোয়াড় হিসাবে হরমনপ্রীতের আচরণ আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল। কেন হরমনপ্রীত ওই আচরণ করেছেন জানি না। তবে বিষয়টা আমার ভাল লাগেনি। আমার দলের সঙ্গে ঠিক ব্যবহার করা হয়নি। এটা সঠিক পরিবেশ নয়। সে জন্যই আমরা সরে এসেছি। ক্রিকেট খেলার সঙ্গে শৃঙ্খলা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা জড়িত।’’

আইসিসি হরমনপ্রীতের বিরুদ্ধে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ?

আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কিত আচরণের জন্য ভারতীয় দলের অধিনায়ককে ম্যাচ ফি-র ৭৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। সঙ্গে ৩ ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আগামী ২৪ মাস তাঁকে থাকতে হবে আইসিসির নজরদারিতে। এই সময়ের মধ্যে আর একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেই হরমনপ্রীত একটি টেস্ট ম্যাচ অথবা দু’টি সীমিত ওভারের ম্যাচে নির্বাসিত হবেন।

Leave a Comment

%d bloggers like this: