উইকেট সংখ্যার দিক দিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা টেস্ট স্পিনার ডেরেক আন্ডারউড। ৮৬ টেস্টে যার ঝুলিতে আছে ২৯৭ উইকেট। ইংলিশ স্পিনারদের মধ্যে যা কিনা সর্বোচ্চ। সেই আন্ডারউড মারা গেলেন ৭৮ বছর বয়সে।
কাউন্টি দল কেন্টের হয়ে ১৭ বছর বয়সে অভিষেক হয় আন্ডারউডের। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার তিনি সেখানেই কাটিয়েছেন। তিন যুগেরও বেশি সময় কাউন্টির দলটির হয়ে তিনি খেলেছেন ৯০০ এর বেশি ম্যাচ। পেয়েছেন নিজ সতীর্থদের কাছ থেকে ‘ডেডলি’ তকমাও। এই স্পিনারের নামের পাশে রয়েছে ১৯.০৪ গড়ে ২৫২৩ উইকেট।
কিংবদন্তি এই স্পিনারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার দল কেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ বিবৃতিতে বলেছে, ‘ক্লাবের একজন আইকন ডেরেক আন্ডারউডের ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুতে শোকাহত কেন্ট ক্রিকেট।’
‘এক্স’-এ পোস্ট করা ইংল্যান্ড ক্রিকেটের বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘এই দেশের অন্যতম সেরা স্পিনার হিসেবে ডেরেক আন্ডারউডকে মনে রাখা হবে।’
সাবেক এই স্পিনার বৃষ্টিস্নাত উইকেটে ছিলেন বেশ ভয়ংকর। ১৯৬৮ অ্যাশেজ সিরিজে ওভালে শেষ টেস্টটি স্মরণীয়। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে মাঠকে খেলার উপযুক্ত করে তুলতে দর্শকেরাও হাত লাগিয়েছিলেন। মাঠ ও উইকেট খেলার উপযোগী করে তোলার পর ২৭ বলের ব্যবধানে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে একাই হারিয়ে দেন। ম্যাচ শেষ হতে তখন মাত্র ৬ মিনিট বাকি!
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটসহ সে ম্যাচে ১৩৯ রানে মোট ৯ উইকেট নিয়েছিলেন আন্ডারউড। সেই জয়ে ইংল্যান্ড সেবারের অ্যাশেজে ১-১ ব্যবধানে সমতায়ও ফেরে। টেস্টে ৫১ রানে ৮ উইকেট তাঁর সেরা বোলিং।
ইংল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে আন্ডারউড ষষ্ঠ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ১৯৭৫ বিশ্বকাপে মাঠে নামা এই স্পিনার ২৬টি ওয়ানডে খেলে নিয়েছেন ৩২ উইকেট।
আইসিসির রেট্রোস্পেকটিভ টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ১৯৬৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত শীর্ষেও ছিলেন এই কিংবদন্তি স্পিনার।
https://slotbet.online/